সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পৌর মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুরের পর দখল করে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে সোনারগাঁও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সোনারগাঁও পৌরসভার আদমপুর বাজারে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে গত বুধবার বিকেলে হামলা করে পৌর এলাকার বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।
পরদিন বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র সোনারগাঁও পৌরসভা (১নং ওয়ার্ড) প্রধান কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগানো হয় তাতে। তবে সোনারগাঁও পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় দখল করে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগানোর বিষয়ে জানেননা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভাধীন পাটালপাড়া এলাকার বিএনপির কর্মী ফিরোজ মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির কয়েকজন সমর্থক গত বুধবার বিকেলে সোনারগাঁও পৌরসভার আদমপুর বাজারে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভেতরে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের বসার টেবিল চেয়ার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের বাঁধা দিলেও তারা মানেনি।
পরে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় ভাঙার পর বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সোনারগাঁও পৌরসভার প্রধান কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয় সেখানে। মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় দখল করায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ধিক্কার জানিয়েছে সুশিল সমাজ। এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় দখল করার বিষয়ে জানেননা বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাজাহান মেম্বার ও সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন। তারা দুজনেই জানান, বিএনপির কেউ কারো কোনো কিছু অন্যায়ভাবে দখল করতে পারবেনা। যদি কেউ অন্যায়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় দখল করে দলীয় কার্যালয় বানিয়ে দলের দুর্নাম করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, কিছু নামধারী বিএনপির কর্মী সমর্থক নেতা হওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় ভাংচুর করে দখল করেছে। যারা এই কাজ করেছে তারা কখনো বিএনপির প্রকৃত কর্মী সমর্থক হতে পারেনা। তারা লুটেরা দল।
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি জানান, আমাদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে দখল করেছে খবর পেয়েছি। কয়েকদিন যাবত অসুস্থতার কারণে বিছানা থেকে উঠতে পারছিনা বিধায় সেখানে যেতে পারিনি। কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।