সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ–বিএনপির নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ থানা কমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ করা হয়েছে গত রোববার। অথচ তা হয়েছিল প্রায় তিন মাস আগে।
এবিষয়ে থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান সংবাদকর্মীদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দলের একটি অংশের নেতাদের অভিযোগ, জেলা
বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করে এ কমিটির অনুমোদন করিয়েছেন মান্নান। যে কারণে অনেক ত্যাগী নেতা কমিটিতে জায়গা পাননি। অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস বিএনপি সূত্র জানায়, মেঘনা ঝাউচর এলাকায় গত ৩০ মার্চ হয় থানা বিএনপির সম্মেলন। এতে আজহারুল ইসলাম মান্নানকে সভাপতি ও মোশারফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আসা সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য নির্দেশ দেন। তবে তা হতে সময় লেগে যায় প্রায় ৬ মাস।
২৫ সেপ্টেম্বর ১০১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। তবে ১০ পূর্ণাঙ্গ কমিটি জানাতেই তিন মাস পার
সোনারগাঁ থানা বিএনপি এ নিয়ে চলে লুকোচুরি। রোববার দুপুরে সোনারগাঁয়ের সংবাদকর্মীদের কল করে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নামের তালিকা জানান বিএনপি নেতারা।এছারাও পাশাপাশি ফেসবুকেও তা প্রচার করেন দলের নেতাকর্মীরা।স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি
অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল বলেন, তিন মাস আগের কমিটি অনুমোদিত হলেও এর কাগজপত্র প্রকাশ করেননি মান্নান। তাঁর অন্তত ১০ আত্মীয়কে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়েছেন।
জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল বলেন, কমিটিতে অনেক সিনিয়র নেতাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, তিনি কথা দিয়েছিলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল হওয়ার পর থানা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করবেন। তাই এতোদিন কমিটি প্রকাশ করেননি। দলীয়
নেতাকর্মীদের ক্ষোভের বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন,
কমিটিতে সবাইকে স্থান দেওয়া (তো) সম্ভব নয়।