ডেক্স রিপোর্টঃ- নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও পৌরসভায় নারীর জমিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার থাবা শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজু।
সোনারগাঁ পৌর এলাকার দরপত ঠোটালিয়ার পশ্চিম পাড়ায় অবস্থিত ১২ শতাংশ জমি ভূয়া দলিল করে দখলের অভিযোগ করেন মায়া রানী বিশ্বাস নামের এক বৃদ্ধ মহিলা।
গত মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ মায়া রানী বিশ্বাসের অভিযোগের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে জানালে তিনি সাথে সাথে ওই মহিলাকে নিজ গাড়িতে করে সরেজমিনে জমির কাছে গেলে তা যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পরে। এরই সূত্রধরে কিছু অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকায় জমি জোরপূর্বক দখলের কথা উল্লেখ্য করে পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খাঁন সাজুর নামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা ও বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে বলে দাবি করেন শাহরিয়ার খাঁন সাজু।
সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে শাহরিয়ার খাঁন সাজু জানান, মায়া রানী বিশ্বাস দাবি করেন তার মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে ১২ শতাংশের মালিক হন। সেখানে তিনি আরো ৬ শতাংশ ক্রয় করে মোট ১৮ শতাংশের মালিক হয়ে ভোগদখল করে আসছে ও আর এস রেকর্ডীয় মালিকের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক জহিরউদ্দিন ও ইসমাইলের বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। বলা বাহুল্য এখানে রায়ের কোন কপি সংযুক্ত নেই।
এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ হলো ভূয়া দলিল দিয়ে জমি দখল ও মায়া রানী বিশ্বাসের বাড়ি-ঘর নাকি ভাংচুর করেছি। যেখানে সাক্ষী প্রমান নেই ও সেই সাথে আমার ক্রয়কৃত দলিল মায়া রানী বিশ্বাসের এক মাস পূর্বের। যাহার দলিল নং-১৩৯২ তারিখ ৫/৩/১৯৮২ ইং আর উক্ত মহিলার দলিল নং-২২৬৭ যাহার তারিখ নং ১০/৪/১৯৮২ ইং।
যাহা আমি বায়না সূত্রে মালিক হয়ে সরেজমিনে গিয়ে আমার বায়নাকৃত জমি ৮ শতাংশে খালি জায়গা বুঝে নিয়ে সাইনবোর্ড প্রতি স্থাপন করি,সেখানে অভিযোগ দায়েরকারী ওই মহিলার কোন ঘর বাড়ি বা গাছপালা কিছুই ছিলো না। এবং এনিয়ে এলাকাবাসীর কোন বিচার শালিসি বা কোন অভিযোগই ছিলো না।
এস.এ ও আর.এস রেকর্ডীয় মালিক জয় চন্দ্র হালদার পিং গঙ্গাচরন হালদার থেকে গত ৫/৩/১৯৮২ সালে ১৩৯২ নং দলিল মূলে মোঃ জহরউদ্দিন ও মোঃ ইসমাইল মিয়া ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ও গত ২৫/১০/১৫ ইং তারিখে ২৪৭০/১৫-১৬ নং নামজারি জমাভাগ করে সোনারগাঁ সহকারী ভূমি অফিসে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করে আসছে ,তারই জমি আমি ভুক্তভোগী শাহরিয়ার খান সাজু বায়না সূত্রে মালিক হই।
পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজু সাংবাদিকদের জানান, মাননীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সাহেব যেভাবে একজন মহিলার কথা শোনে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা আসলেই প্রশংসনীয় ও সন্মানজনক, যা আমরা জনসাধারণ সর্বদাই আশাবাদী। সংসদ সদস্য মহোদয়ের কাছে ভুক্তভোগী শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজু দাবি করেন তাহার বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও অভিযোগের সঠিক সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দুই পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দীর্ঘদিনের ঝামেলার অবসান করার বিনীত প্রার্থনা জানান।
নিবেদক শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজু