1. admin@bangladeshbulletin24.com : admin :
প্রশাসনের নাকের ডগায় খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ - বাংলাদেশ বুলেটিন ২৪
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন

প্রশাসনের নাকের ডগায় খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

দৈনিক সংগ্রাম ডেস্ক :
  • প্রকাশিত : ২ বছর আগে
  • ১১৬ বার পঠিত

সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ– -নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঐতিহ্যের বাহক পঙ্ক্ষীরাজ খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় খালটি ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে। ফলে একসময় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

উপজেলার পৌরসভায় ঐতিহাসিক পঙ্খিরাজ খালটির উদ্ধবগঞ্জ হতে ভট্টপুর গ্রামের পাশ দিয়ে ভয়ে যাওযা দুপাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মান হচ্ছে।
খালটির বড় একটা অংশ দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছে পৌর ভট্টপুরের নাসিরুদ্দিন মাষ্টার । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্থায়ীভাবে কলম গেঁথে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যেন দেখার কেউ নেই।

জানা গেছে, এর আগেও খালটির উপর অবৈধভাবে দখলকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ এবং পুনরায় খালটির আদিরুপ ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সম্প্রতি বদলী হওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ এলাহীর কাছে স্বারক লিপি প্রদান করেন।

দখল, দূষণ ও ভরাটের কারণে খালটি এখন সরু নালায় রূপ নিয়েছে। এক সময় খালটি পুরো পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিল। বর্তমানে খালটির বিভিন্ন স্থানে ভরাট ও দখলের কারণে খালটিতে পানি প্রবাহ নেই বললেই চলে। সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীর শাখা মেনিখালীর সঙ্গে এ খালের সরাসরি সংযোগ ছিল। খালটি উদ্ধবগঞ্জ এলাকার ভট্টপুর দিয়ে ঐতিহাসিক পানাম নগরে প্রবেশ করেছে। এক সময় এ খাল দিয়েই দেশী-বিদেশী বণিকরা পানাম নগরে যাতায়াত করত।
এভাবে খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকলে খালটি ছোট হয়ে পড়বে। সামান্য বৃষ্টি হলেই খালের পানি লোকালয় ঢুকবে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। তাই ঐতিহাসিক এই খালটি রক্ষার্থে অবৈধ স্থায়ী পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে পুনরায় খালটির ঐতিহ্য রক্ষায় খনন করার দাবি জানান তারা।
পৌর এলাকার পরিমল বাবু জানান, এক সময় প্রতিটি বাড়িতে নৌকায় যাতায়াত করা যেতো, সবগুলো খালই প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে। দখল হয়ে যাওয়া খাল পূনরায় দখলমুক্ত করার জোরদার দাবী জানাই।
এ ব্যপারে পৌরভট্টপুর এলাকার অভিযুক্ত খাল দখলকারী নাসিরুদ্দিন মাষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, খালের জমি ছেড়ে আমি আমার নিজের জায়গায় বাড়ির নির্মাণ করছি । এর আগে সরকারি কর্মকর্তা এসে খালে পানি বেশি থাকায় জায়গাটি মেপে না দিতে পেরে আমার বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো। এখন আমি পুনরায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জমান মধু জানান, নির্মাণাধীন স্থাপনাটির কাজ পূর্বে একবার এসিল্যান্ড এসে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে শুনেছি সরকারি কর্মকর্তা এসে জায়গাটি মেপে দিয়ে গেছেন। এ ব্যপারে এসিল্যান্ড ভালো বলতে পারবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইব্রাহীম জানান,অবৈধভাবে খাল দখলের সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না৷ দখলকৃত খালগুলো ম্যাপ দেখে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে উচ্ছেদ করে পূনরায় উদ্ধার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা