বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়–য়া শিশু শিক্ষার্থীকে চড়থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিভাবকরা এ ঘটনার জন্য ওই শিক্ষিকার অপসারণ দাবী করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বন্দর ইউনিয়নের ১০নং বন্দর কাজীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একটি পক্ষ বলছে, স্কুল শিক্ষিকা ক্লাশ চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষার্থীকে জোড়ে জোড়ে ৪/৫টি চড়থাপ্পড় মারছে। এঘটনায় ওই স্কুলে অভিভাবকদের সাথেও চড়াও হন স্কুল শিক্ষিকা, পরে মুহুর্তেই স্কুলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত ওই স্কুল শিক্ষিকার নাম ফেরদৌসী আক্তার।
বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম খাদিজা। সে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।
শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয় অস্বীকার করে শিক্ষিকা বলেন, ক্লাশে নকল করছে দেখে আমি শাসন করেছি, কোন মারধর করিনি।
ক্লাশে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার বিষয় এক অভিভাবক জানান, আমার বাচ্চার পাশেই ক্লাশে বসেছে, ম্যাডাম বাড়ির কাজ দিয়েছে তখন আমি বললাম তুমি বইটা বের করো। আমার মেয়ে আবার খাতা টা বের করে বা লিখছে তখন আমার মেয়ে কলম দিয়ে ব-এর সাথে ই লিখে দিছে আমি জানালা থেকে সবই দেখতেছি। হটাৎ করে ম্যাডাম তাকে চড়থাপ্পড় মারতে থাকার কারণে সে মারাত্মক ভয় পেয়েছে। তখন মেয়েটার ভয়ে কান্না করতেছে আমি এসে চোঁখের পানি মুছে দিলাম। পরে ম্যাডামের হাতে একটি স্কেল ছিল তখন সে আমাকে ওই স্কেল নিয়ে এগিয়ে আসে বলে আপনি এখানে কেন ঢুকছেন, খুব রাগান্নিত হয়ে বলে বের হন এখান থেকে বের হন। তখন আমি বলছি ম্যাডাম ওতো ভয়ে কান্না করছে আমি এসে চোঁখের পানি মুছে দিলাম তিনি বলেন আপনি কেন আসবেন এইটা কি আপনার বাচ্চা।
তিনি আরও জানান, স্কুলের ম্যাডাম কাউকেই মানেন না, তার মত ম্যাডাম আমার জীবনেও দেখিনাই। কোন শিক্ষিকার এমন আচরণ হতে পারে তা ভাবতে পারছিনা। সে আমাকে বলে আমি মূর্খ আমি কিছু বুঝিনা, আমি অনার্স পাশ করেছি, ‘ল’ এ পড়েছি সে আমাকে বলে আমি মূর্খ। আমি মনে করি ওই ম্যাডামের শিক্ষকতা করার কোন যোগ্যতাই না। ওই শিক্ষিকার অপসারণ দাবী করেছেন তিনি।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই স্কুল শিক্ষকা সবার সঙ্গেই খারাপ আচরণ করেন। ক্লাশে শিক্ষার্থীদের সাথেও চোঁখ রাঙিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন আমি এখানের স্থানীয়, আমার বাড়ি মদনগঞ্জ আমার কেউ কিছু করতে পারবেন না।
এবিষয় জানতে চেয়ে ১০নং বন্দর কাজীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমীন সুলতানা জানান, গত বৃহস্পতিবার এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, তখন আমি সহ আমার শিক্ষকরা অভিভাবককে ডেকে এনে সমাধান করে দিয়েছি। এবং ওই শিক্ষিকাকেও আমার রুমে ডেকে এনে বুঝিয়ে দিয়েছি। বাচ্চা মেয়েটা ক্লাশে ঠিক মত বই বের করে না, হয়তো বাচ্চা টার জন্য ম্যাডাম একটু বিরক্ত। তারপরও ম্যাডামকে আমরা সকলে বুঝিয়ে বলে দিয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম জানান, আমার কাছে বিষয়টি কেউ জানায়নি। আমি আগামীকাল স্কুলে আমার সহকর্মীকে পাঠাবে।