নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ও বারদী ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যুবলীগ নেতার অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে রাতের আধারে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, নগদ টাকা এবং খামারের গরুসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।
শুধু ভাংচুর লুটপাটই নয় এক চেয়ারম্যানের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে সেখানে নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে তারা। বিএনপির এমন তান্ডবের কারণে এলাকা ছাড়া হচ্ছেন আওয়ামী নেতা কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়সহ নেতা কর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা চালানো শুরু করে স্থানীয় বিএনপি ও জামাতের নেতা কর্মীরা। এদিন সন্ধ্যার দিকে পিরোজপুরের মেঘনা প্রতাপেরচর এলাকায় সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ মাসুদুর রহমান মাসুমের বাড়ি ও তার ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদের ব্যবসায়ীক অফিসে একযোগে হামলা চালায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আশরাফ প্রধানের নেতৃত্বে তার ভাই শাহাবুদ্দিন, হাসেম প্রধান, আলামিন, রিফাতসহ তাদের লোকজন। তারা যুবলীগ নেতা আবু সাঈদের অফিস ভাংচুর করে নগদ টাকা,এসি, টিভি, ফ্রিজ ও চেয়ার টেবিল নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। তাছাড়া চেয়ারম্যান মাসুমের বাড়ি থেকে ৩৫ টি ভাড়াটিয়া তাৎক্ষনিক নামিয়ে দিয়ে সেই বাড়ি ও যুবলীগ নেতার অফিস নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় হামলাকারীরা। তারা চেয়ারম্যানের ম্যানেজার মোহাম্মদ আলীকেও হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে জানতে শাহাবুদ্দিন প্রধানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি চেয়ারম্যাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে ফোন রেখে দেন। অপরদিকে বারদী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল ও তার ছোট ভাই আমিনুলের বাড়ি ভাংচুর করে ঘর থেকে নগদ দুই লাখ টাকা, ল্যাপটপসহ মালামাল নিয়ে যায় এবং কয়েকটি দোকানভাংচুর করে স্থানীয় বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।
এদিকে হামলাকারীদের তান্ডবের কারণে আতঙ্কে উক্ত দুই চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী নেতারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এছাড়াও আত্মরক্ষায় এলাকা ছাড়া হচ্ছেন আরো আওয়ামী নেতৃবৃন্দ।