মোঃ নুর নবী জনিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কিশোর ফয়সাল আহমেদ হত্যা মামলায় ১ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মোঃ আমিনুল হক এই রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় বাকি ৩ আসামীকে খালাস দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আসাদুজ্জামানা।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- সোনারগাঁ পৌরসভার বাঘমুছা ঋষিপাড়ার তপন চন্দ্র দাসের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র দাস (২১),একই সাথে মামলায় অভিযোগপত্রে থাকা আরো ৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- একই এলাকার তপু চন্দ্র দাশ অপু, তপন চন্দ্র দাস ও নিতাই চন্দ্র দাস।
কিশোর ফয়সাল গত ২৬ জানুয়ারি ২০২২ সালে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনারগাঁ থেকে নিখোঁজ হয়। পরে ২৮ জানুয়ারী ফয়সালের মামা মো. মানিক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেন। ঘটনার ৮ দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারী ভোরে বাগমুছা ঋষিপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামানা জানান, সোনারগাঁ উপজেলা থেকে নিখোঁজের ৮দিন পর ফয়সাল আহম্মেদ (১৭) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলায় আদালত আজ এক আসামির মৃত্যুদন্ড ও বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি অপূর্ব আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি রাতে অপূর্ব চন্দ্র দাস ফোনে ফয়সালকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ফয়সাল দেখা করতে গেলে অপূর্ব তাকে বাড়ির পাশের উঁচু ভিটায় নিয়ে যান। সেখানে কথা বলার এক ফাঁকে অপূর্ব তার হাতে থাকা দড়ি দিয়ে ফয়সালের গলা পেঁচিয়ে ধরেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে পুকুরে কচুরিপানার নিচে ফয়সালের লাশ ডুবিয়ে রাখেন।