সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় বলতে গেলে”হাইব্রিড কাউয়াদের প্রচারণায় প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দিশেহারা।এমনই এক হাইব্রিড নেতার সন্ধান মিলেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের মাসুম আহম্মেদের ।তিনি সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের মন্জুর খোলা এলাকার আফতাব উদ্দিন মোল্লার ছেলে। আর এই আফতাব উদ্দিন ছিলেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত ফজল চেয়ারম্যান এর একান্ত ঘনিষ্ঠ সহচর।বিএনপির আমলে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বিএনপির রাজনীতিতে, অপর দিকে মাসুমের মামা আজিজুর রহমান ছিলেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার আপন খালু বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আঃমালেক,এখনো তারা বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় অবস্থানে আছেন আর তাদেররই ছেলে এখন আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সোনারগাঁ উপজেলার সাধারন সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া মাসুম আহম্মেদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জানান,কাঁচপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং বর্তমানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসুম আহমেদ বিএনপি পরিবারের সন্তান। সে কিভাবে স্বেচ্ছাসেবক লীগে ঠাই পায়।
বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবং তার নিজ এলাকা কাঁচপুর আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে তান্ডব চালিয়েছিলো।
এলাকাবাসী জানায়,বিএনপির আমলে তার পরিবার সবাই বিএনপি জামাত রাজনীতির সাথে জড়িত।বিএনপি জামাত সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় তারা নিজস্ব বাহিনী গঠণ করে ফজল চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে অনেক তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছিলো। পরবর্তীতে দেশে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কিছুদিন গা-ঢাকা দেয়।
মামা খালুদের বিএনপির পরিচয় গোপন রেখে শরীরে মুজিব কোর্ট জড়িয়ে আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ার চেষ্টা করছে।কাঁচপুর ইউনিয়নের যেকোন জায়গায় আওয়ামীলীগের কোন দলীয় কর্মসূচি হলে সে গায়ে মুজিব কোর্ট পড়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে ছবি তুলে নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা চালায়।
এলাকাবাসী আরও জানান গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আত্মীয় স্বজনরা বিএনপির আপেল সাহেবকে এমপি নির্বাচন করার জন্য বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপির মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে। শীর্ষ পর্যায়ের নেতা আপেলের পক্ষে বিএনপির সংসদ সদস্য হওয়ার মনোনয়ন কিনতে যাওয়া নেতার ছেলে রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে স্বার্থের জন্য সুসময়ের কোকিল হয়ে আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সোনারগাঁ উপজেলার সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সোনারগাঁয়ের জনগণের কাছে নিজেকে জাহির করছে মাসুম আহম্মেদ। এমন নেক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে একের পর এক পোষ্ট করছে স্থানীয় ছাত্রলীগ,যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে। অপরদিকে তার রয়েছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার,রয়েছে যুব সমাজকে ধংস করার মতো ফেনসিডিল ও ইয়াবা ব্যাবসা,সে নিজেও ফেনসিডিল খেয়ে নেশা গ্রস্ত হয়ে থাকে। দিনে দুপুরে কাঁচপুর এলাকার এসএস পাম্পে তার শেল্টারে চলে মাদকের ব্যবসা।
তবে গত (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির এক মতবিনিময় সভায় সুবিধাবাদী, হাইব্রিড নেতারা যেন ঠাই না পায় এমনটাই দাবি করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মাসুম আহমেদের মুঠো ফোনে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। এবং তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের মামলার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া বলেন,বিএনপির কোন লোক আওয়ামী লীগে ঠাই নেই,আওয়ামীলীগে কোন হাইব্রিড কাউয়াদের ঠাই হবে না।