নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী গনধর্ষনের ঘটনায় সোনারগাঁ থানা পুলিশের অভিযানে দুই ধর্ষক গ্রেফতার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বারদী বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকরা হলেনঃ-বারদি ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে রাকিব, নাগপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন।
জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীর চর এলাকার মহিলা মাদ্রাসার এক ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে বারদী ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে রাকিব, নাগপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেনসহ কয়েকজন মিলে উত্ত্যক্ত করলে ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে তারা বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রীকে বড় ধরণের ক্ষতি করার হুমকি দেয় ।
গত মঙ্গলবার( পহেলা নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে যায়।এসময় পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা রাকিব, শাকিল ও মোশারফ মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশ্ববর্তী দৌলরদী ছাগইল্লাপাড়া এলাকায় সেলিম মিয়ার ছেলে শাকিলের বাড়িতে তাদের দুই রুম বিশিষ্ট খালি ঘরের ভেতরে অপহরণ করে নিয়ে আটকে রাখে। পরে তারা একে একে তিনজন মিলে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে ওই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মাকে জানায়।
এবিষয়টি এলাকার গন্যমান্য সালিশকারীদের কাছে বিচার দাবি করলে তারা বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঘুরাতে থাকে। তিনদিনেও এর কোন প্রতিকার না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই মেয়ের বাবা। অভিযোগের কিছুক্ষন পর পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বারদী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাকিব ও মোশারফকে গ্রেফতার করে।
ভূক্তভোগী ছাত্রীর পিতা বলেন,আমরা গরিব মানুষ, স্থানীয় গ্রাম্য সালিশকারীদের কাছে বিচার দাবি করলে তিনদিনেও তাদের কাছে কোন প্রতিকার পাইনি। আমি আমার মেয়ের ইজ্জত হারানোর সঠিক বিচার চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জানান, গণধর্ষণের অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।